প্রতি স্বাধীনতার দিনে আমার মাকে বড়ো মনে পরে।
ছোটোবেলার স্মৃতিতে দিনটা ছিল আনন্দেরই, রোদ উজ্জ্বল ঝকঝকে ।
বাবার হাত ধরে পতাকা নারতে নাড়তে মিষ্টি কিনে, ভাই আর আমি বাড়ি ফিরছি,
এই তো যেন সে দিনের কথা ।
সে ছবিতে শুধুই সুখ, শুধুই খুশী, শুধুই হাসি খেলা কত শত রঙের গাঁথা মালা।
আমার মা ভয়াবহ ৪৭এর অনেক আগেই এদিকে চলে এসেছিলেন, আপাতভাবে কাঁটা ছেড়ার আঁচ লাগেনি তাঁদের গায়ে ।
তখন নতুন বউ হয়ে এক অজানা শহরে শ্বশুরঘর করতে আসা সবে কৈশোর পেরোনো সেই লাজুক মেয়েটি কে হয়ত রোমাঞ্চই দিতো এই পারাপার।
বারবার দুধসাদা গ্রামে ফিরে গিয়ে সেই আদরিনী মেয়ে ভালবাসায় ভাসতে ভাসতে এপারের গল্প করার মধ্যে যেন ছিলো অশেষ স্বর্গসুখ।
১৫ই আগস্ট এলেই মায়ের চোখের কোন কেন জল চিকচিক করত - অনেক অনেক দিন তা বুঝিনি।
এখন বুঝি, ওই দিন দুধশা নদীর দুকূল ছাপিয়ে আসতো জোয়ার
সেই নদীতে মন খারাপের ঘন কালো কুয়াশায় হারিয়ে যেত এক মযুরপঙ্খী নাও।
সাজান সব রাজপাট পরে থাকলো যেমন তেমন,
কাঁটাতারের বেঁড়া পেরিয়ে আর কখন বড় হাউলিতে হবে না দ্বিরাগমন ।
দূর্গা দালানে কোজাগরী আল্পনা আর কখনও না, কখনও না,
খান্ডব দহনের আগুনে পুরে ছাই সব ছোট ছোট সুখ
দম বন্ধ করা ধুলোর ঝড়ে উল্টোপালটা লন্ডভন্ড হারিয়ে গেল
অতি আদরের কত কত, কত শত মুখ ।
প্রত্যেক স্বাধীনতার দিনে মাকে ডাক পাঠাতো সেই নদী, সেই দূর্গা দালানে সেই হারিয়ে যাওয়া মুখেরা
আর আমার সদাহাস্যময়ী মা হয়ে যেত এক জল টলটল নদী ।
আজ আমাকে স্বাধীনতার দিনে সুদুর থেকে ডাক পাঠায় তোমাদের আদরের নৌকা, ডাক পাঠায় সংকেতে দূরভাষে ২৫শে , ২২শে -০৩৩এ
আর শুধু আমার মাকে মনে পরে, শুধু মাকে মনে পরে।
ছোটোবেলার স্মৃতিতে দিনটা ছিল আনন্দেরই, রোদ উজ্জ্বল ঝকঝকে ।
বাবার হাত ধরে পতাকা নারতে নাড়তে মিষ্টি কিনে, ভাই আর আমি বাড়ি ফিরছি,
এই তো যেন সে দিনের কথা ।
সে ছবিতে শুধুই সুখ, শুধুই খুশী, শুধুই হাসি খেলা কত শত রঙের গাঁথা মালা।
আমার মা ভয়াবহ ৪৭এর অনেক আগেই এদিকে চলে এসেছিলেন, আপাতভাবে কাঁটা ছেড়ার আঁচ লাগেনি তাঁদের গায়ে ।
তখন নতুন বউ হয়ে এক অজানা শহরে শ্বশুরঘর করতে আসা সবে কৈশোর পেরোনো সেই লাজুক মেয়েটি কে হয়ত রোমাঞ্চই দিতো এই পারাপার।
বারবার দুধসাদা গ্রামে ফিরে গিয়ে সেই আদরিনী মেয়ে ভালবাসায় ভাসতে ভাসতে এপারের গল্প করার মধ্যে যেন ছিলো অশেষ স্বর্গসুখ।
১৫ই আগস্ট এলেই মায়ের চোখের কোন কেন জল চিকচিক করত - অনেক অনেক দিন তা বুঝিনি।
এখন বুঝি, ওই দিন দুধশা নদীর দুকূল ছাপিয়ে আসতো জোয়ার
সেই নদীতে মন খারাপের ঘন কালো কুয়াশায় হারিয়ে যেত এক মযুরপঙ্খী নাও।
সাজান সব রাজপাট পরে থাকলো যেমন তেমন,
কাঁটাতারের বেঁড়া পেরিয়ে আর কখন বড় হাউলিতে হবে না দ্বিরাগমন ।
দূর্গা দালানে কোজাগরী আল্পনা আর কখনও না, কখনও না,
খান্ডব দহনের আগুনে পুরে ছাই সব ছোট ছোট সুখ
দম বন্ধ করা ধুলোর ঝড়ে উল্টোপালটা লন্ডভন্ড হারিয়ে গেল
অতি আদরের কত কত, কত শত মুখ ।
প্রত্যেক স্বাধীনতার দিনে মাকে ডাক পাঠাতো সেই নদী, সেই দূর্গা দালানে সেই হারিয়ে যাওয়া মুখেরা
আর আমার সদাহাস্যময়ী মা হয়ে যেত এক জল টলটল নদী ।
আজ আমাকে স্বাধীনতার দিনে সুদুর থেকে ডাক পাঠায় তোমাদের আদরের নৌকা, ডাক পাঠায় সংকেতে দূরভাষে ২৫শে , ২২শে -০৩৩এ
আর শুধু আমার মাকে মনে পরে, শুধু মাকে মনে পরে।
No comments:
Post a Comment